জে. খান স্বপনঃ চিকিৎসকের অবহেলায় খাদিজা আক্তার (২৩) নামে ৯ মাসের অন্তসত্বা এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে তার গর্ভে থাকা সন্তানটিরও মৃত্যু হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে হাসপাতালের পঞ্চম তলার গাইনী ওটিতে ওই রোগীর মৃত্যু হয়।এসময় ক্ষুদ্ধ হয়ে রোগীর স্বজনরা ওটি’র প্রবেশদ্বার ভাংচুর করলে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্নী চিকিৎসকের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মৃত খাদিজা আক্তারের স্বামী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ শাকিল বলেন, আগামী ২৬ মার্চ আমার স্ত্রীর ডেলিভারির তারিখ ছিল। এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের কাছে একটি ইনজেকশন না থাকায় খাদিজাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুর ১২টা নাগাদ ভর্তি করা হয়। ওই সময় থেকেই খাদিজা গুরুত্বর অসুস্থ্য থাকায় আমি একাধিকবার চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত ও প্রয়োজনীয় ঔষধ জোগাড় করে রাখি। বিকেল ৩টা থেকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার কথা বললেও তা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাদিজাকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনো চিকিৎসকের দেখা মিলেনি। অবস্থা বেগতিক হলে সেখানে থাকা সেবিকাদের বলা হলে তারা চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন। তৃতীয় তলায় গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে উপরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তারা সিনিয়র চিকিৎসক ছাড়া যেতে পারবেন না বলে জানায়। একপর্যায়ে চিকিৎসককে ধরে টান দিলে অন্য চিকিৎসকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। ইন্টার্ন ডক্টর্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা: নাহিদ হাসান জানান, রোগীটি মূমুর্ষ অবস্থায় এখানে ভর্তি হয়। তার প্রেশার অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে ছিল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে প্রেশার নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জরুরী ভিত্তিতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আর অপারেশন টেবিলে ওঠানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। যার কারণে বাচ্চাটিকেও বাঁচানো যায়নি। কিন্তু এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটার ভাংচুর ও ইন্টার্নী চিকিৎসকদের মারধর করে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply